হঠাৎ করে দোহার ও নবাবগঞ্জের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দুই উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দি হাজারো মানুষ। দোহার-নবাবগঞ্জ-মানিকগঞ্জ রক্ষা বাঁধ সংলগ্ল প্রায় ৩৫টি গ্রামসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকাপ্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবারের হাজারো মানুষ।
অপরদিকে দোহার উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নয়াবাড়ি, কুশুমহাটি, মাহমুদপুর, বিলাসপুর ও নারিশা ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরছেন।
বন্যার পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়াতে দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দি মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। পদ্মার পানিতে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছে এসব অঞ্চলের কৃষক পরিবারগুলো। দেখা দিয়েছে গো -খাদ্যের তীব্র সংকট। অতি কষ্টে জীবন যাপন করছেন বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দারা।
বন্যাকবলিত দোহার উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ।
অতি দ্রুতই বন্যার পানি কমে যাক এমনটাই প্রত্যাশা বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের