সেপ্টেম্বরেই নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে আসছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক। তবে দলের নাম এখনো চূড়ান্ত করেননি তিনি। ‘গণ অধিকার পরিষদ’ অথবা ‘বাংলাদেশ অধিকার পার্টি’ নাম নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেওয়ার লক্ষ্য এগোচ্ছে ভিপি নুর।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, নতুন দলের সংগঠকদের লক্ষ্য ছিল গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দিকে। তিনি আবার দলীয় প্রধান হতে রাজি হননি। তবে তারা চায় জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের কাউকে দলের সভাপতি পদে আনতে। এ লক্ষ্যে কাজ করছেন উদ্যোক্তারা।
ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী দাবি করেন, বয়স নেই তার। একটি দলের যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়া কঠিন কাজ। যার প্রতিপক্ষ হলো আওয়ামী সরকার।
একটি সূত্র জানায়, নতুন দলের সভাপতি বা চেয়ারম্যান হিসেবে যিনিই থাকুন না কেন, নুরুল হক দলের মুখ্য ব্যক্তি হিসেবে থাকবেন। দলটি হবে একটি তারুণ্যনির্ভর দল। তবে একসময় রাজনীতি করতেন, এখন নানা কারণে নিষ্ক্রিয়—এমন ব্যক্তিদের সঙ্গেও নতুন দলের উদ্যোক্তাদের আলোচনা এগুচ্ছে। নতুন দলে রাষ্ট্রচিন্তা, ভাসানী অনুসারী পরিষদসহ কয়েকটি সংগঠন একীভূত হবে বলে ধারণা দেয় সূত্রটি।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, সমমনা চারটি সংগঠন একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক দল গঠনে এগুচ্ছেন।
ভিপি নুরুল হকের অনুসারিরা জানায়, নতুন দলের মাঠপর্যায়ের কমিটিগুলোতে সভাপতি পদে জ্যেষ্ঠদের এবং সাধারণ সম্পাদক পদে তরুণদের দিয়ে দল সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর পরেই দ্রুত সময়ের মধ্যে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে দিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করবে।
নুরুল হক বলেন, এককভাবে নির্বাচন করার কথা ভাবা হচ্ছে, মানুষ আমাদের বিকল্প শক্তি হিসেবে ভাবে। আর নতুন দল ঘোষণার পর আমাদের কর্মসূচি হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে আন্দোলন। আর নিবন্ধন না পেলে নিবন্ধন না পেলে কোনো ভোটই হবে না দেশে।
২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। তাঁর নামে এখনো ১৭টি মামলা রয়েছে। তিনি বর্তমানে ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক।
তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে দেশের মানুষ তার পাশে থাকবে বলে দাবি করেন তিনি।