ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। আহত করা হয়েছে আরও এক নারীকে।
উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বড় বলমন্তচর গ্রামে রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ।
নিহতের নাম রুনা। বয়স আনুমানিক ২৫/৩০ বছর। বাড়ি বি-বাড়িয়া জেলায় জানালেও তার বিস্তারিত পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় আহত পপি (২০) নামের আরও এক নারীকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে । সে ওই একই জেলার বাসিন্দা।
প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে ওসি সিরাজুল বলেন, দুপুরে বড় বলমন্তচর গ্রামের বাসিন্দা হয়রত আলী (৫৫) ও তার স্ত্রী জহুরা বেগম (৪৫) করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে পৃথক দুই লাইনে দাঁড়িয়েছিল। এসময় মহিলাদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা জহুরার উপরে এসে পরে পেছনে থাকা ওই দুই নারী। এর কিছুক্ষণ পর জহুরা বুঝতে পারে তার গলায় স্বর্ণের চেইন নেই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সে তার স্বামীকে জানিয়ে ওই দুই নারীকে দেখিয়ে দিলে তার স্বামী ওই দুই নারীকে আটক করে গাড়িতে করে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে স্বর্ণের চেইন ফেরত চেয়ে তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধম পারপিট করে। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে তারাও ওই দুই নারীকে বেধম পারপিট করে গুরুতর আহত করে।
সংবাদ পেয়ে বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই দুই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রুনাকে মৃত ঘোষনা করেন বলেন ওসি।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় প্রধান আসামি হয়রত আলী পালিয়ে গেছেন। তবে জহুরা বেগমকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।