কেন্দ্রীয় সভাপতির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা হলে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার উদ্বেগজনক মাত্রায় বেড়ে চলেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশে এই আইনের অধীনে দায়ের করা হয়েছে মোট ১৯৮টি মামলা। আসামী করা হয়েছে ৪৫৭ ব্যক্তিকে। অন্যদিকে ৪১টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৭৫ জন সাংবাদিককে। এই আইনে অধিকাংশ নিরপরাধ মানুষ জামিনে মুক্তির অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। অনেককেই রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক-মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগও উঠেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ধারা দেশের সংবিধানের মৌলিক চেতনা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও মৌলিক মানবাধিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। আমরা সংবিধানে প্রদত্ত স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করে আইনটির সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।
আজ ১৮ অক্টোবর’২১ সোমবার বেলা ১২ টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ আল-আমিন-এর পরিচালনায় কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম-এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হায়রানীমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংগঠনের পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম ও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ-এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা দুরভিসন্ধিমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এ হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের দাবি করছি।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, ইশা ছাত্র আন্দোলন ১৯৯১ সালের ২৩ আগষ্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত তিন দশকের পথচলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সুখী-সমৃদ্ধশীল একটি কল্যণরাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষে দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ধারাবাহিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও পরিচালনা করে আসছে।
তিনি আরো বলনে, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা মনে করি, আইন ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, অহেতুক নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করার জন্য নয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ অনতিবিলম্বে কেন্দ্রীয় সভাপতির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় দেশব্যাপী সাধারণ শিড়্গার্থীদের সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মলেন থেকে নিন্মোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
০১.আগামী ২০ অক্টোবর ২০২১ এর মধ্যে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ২১ অক্টোবর ২০২১ ইং বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে মানববন্ধন করা হবে।
০২. এরপরও যদি এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে দেশব্যাপী পর্যায়ক্রমে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, ইনশাআল্লাহ।