সম্প্রতি কুমিল্লায় পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলা অগ্নিসংযোগ ইসলাম সমর্থন করে না। ৯২% মুসলিম দেশে মুসলমানদের জান-মাল যেভাবে নিরাপদ,অন্য ধর্মের লোকদের জান-মালও তদরূপ নিরাপদ।
কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীদের এবং সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলার দ্রুত বিচার করতে হবে। কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ঘটনাকে এক শ্রেণির মিডিয়, রাজনৈতিক সংগঠন ও সুশীল সমাজ কেবলমাত্র সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে ব্যাখ্যা করছে, তা হতাশাজনক। দেশের ইতিহাস বাঙ্গালীর চরিত্র ও ধর্মপ্রবণতা নিয়ে তাদের এমন ভুল ব্যাখ্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশের চলমান সঙ্কট ও তা থেকে উত্তরনের লক্ষ্যে আগামী ২৭ অক্টোরবর সর্ব মহলের শীর্ষস্থানীয় পীর-মাশায়েখ. বুদ্ধিজীবী. রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও সমাজকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে পীর সাহেব বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এটা সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য সংবিধানের ওপর চরম আঘাত। অবিলম্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুস আহম্মেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মেয়র পদপ্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান, মাওলানা শোয়াইব হোসেন, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা শেখ ফজহলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, প্রিন্সিপাল মাওলানা মকবুল হোসাইন, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল আমিন, মুফতি দেলাওয়ার হোসেন সাকী প্রমূখ।