ভয়েস বার্তা ডেস্ক:
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দেশের সবচেযে বড় অর্জন স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বর্ণিল আয়োজনে সারা দেশে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা ও বিভাগীয় শহরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সবার মাঝে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা।
আজ শনিবার (২৫ জুন ২০২২ইং) বেলা ১১টা ৫৯ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন প্রধানমন্ত্রী। এ অনুষ্ঠান সারা দেশে একযোগে প্রচার করা হয়। ভয়েস বার্তার জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আনন্দ ও উৎসবে ভাসছে জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলো।
মাদারীপুর: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় আয়োজিত জনসভায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক লাখ মানুষ। শনিবার ভোর থেকে বরিশালের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বাংলাবাজার ঘাটে ভিড়ে শতাধিক লঞ্চ। দুপুরে বাংলাবাজার ঘাটে জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এতে অংশ নেন বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, শরীয়তপুর ও ভোলার মানুষজন। তাদের জন্য মঞ্চের পাশে স্থাপন করা হয়েছে বড় বড় এলইডি মনিটর। আনন্দ ও উৎসবে মেতেছেন সবাই।
বেলা ১১টায় সেতু উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ উপলক্ষে বাংলাবাজার ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে নৌকাবাইচ শুরু হয়। এতে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে আগত ছয়টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি নৌকায় ৪০ থেকে ৫০ জন করেছিলেন।
ফরিদপুর: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন স্মরণীয় করে রাখতে ফরিদপুরে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেখানে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ শহরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় শেখ জামাল স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে খণ্ড খন্ড র্যালি গিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে সমাবেত হয়। পরে শেখ জামাল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। এ সময় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বড় পর্দায় প্রদর্শিত হয়।
অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে বিরাট ভুমিকা পালন করবে এই পদ্মা সেতু, বাঙালীর জন্য এমন একটি সেতু ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে রেখে যাচ্ছে নতুন সম্ভাবনার দূয়ার।
হাজারো বাধা উপেক্ষা করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান।