ভয়েস বার্তা ডেস্ক:
নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার প্রণয়নে সংবিধানে সংশোধনীর প্রস্তাবসহ ১৯ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এই ‘১৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব’ ঘোষণা করেছে দলটি।
গতকাল (২ই জানুয়ারি ২০২৩ই) সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির হিসেবে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এবং মহাসচিব হিসেবে হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ কে নির্বাচিত করা হয়।
ইসলামী আন্দোলনের ১৯ দফা সংস্কার প্রস্তাবনায় রয়েছে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনের ভিত্তিতে সংবিধানের সামগ্রিক সংশোধন, প্রশাসনকে দক্ষতা ও সততার ভিত্তিতে ‘জনতার সেবক দর্শন’ এ খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শে গড়ে তোলা, শাসনব্যবস্থার সংস্কার।
এ ছাড়া অর্থ খাতে দুর্নীতি নির্মূল, ভোক্তা খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ, কার্যকর পররাষ্ট্রনীতি, কৃষক-শ্রমিক-মজুর এবং প্রবাসীদের জীবনমান উন্নয়ন এবং ইসলামী শিক্ষার আলোকে শিক্ষাব্যবস্থার প্রস্তাবনা দেওয়া হয় সংস্কার প্রস্তাবে।
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য, অথচ রাজনীতির জন্য মানুষকে নিজের জীবন দিতে হচ্ছে। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার আলোকে এই সংঘাতনীতি পরিহার করতে হবে। সাম্য, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন ও স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন জনমতের ভিত্তিতে শাসনতন্ত্রের সংস্কার।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় সংহতির মাধ্যমে একটি কার্যকর সংসদ বাস্তবায়ন করতে হবে। নির্বাচন ও শাসনব্যবস্থার আমূল সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের জন্য কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশি-বিদেশি কোনো অজুহাতেই নাগরিকের মৌলিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না।’
এরপর ২৩তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত ৪৯ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের শপথ পাঠ করান চরমোনাই পীর।
৪৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে নায়েবে নির্বাচিত হয়েছেন আমির হিসেবে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ।
এ ছাড়া যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।
সম্মেলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ আরো অনেকে।
v.b.d.