নানামুখী আন্দোলন সংগ্রাম ও প্রতিবাদের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন গত ১১ মার্চ’১৯ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাবি শিক্ষার্থী ও গণমানুষের প্রত্যাশা ছিল ডাকসুর অচলাবস্থা নিরসন হয়ে নিয়মিতই অনুষ্ঠিত হবে ডাকসু নির্বাচন। কিন্তু ২৩ মার্চ’২০ সালে সর্বশেষ নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বদিচ্ছার অভাবে পুনরায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে ডাকসু। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না থাকায় ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হওয়াসহ নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরির পথও রুদ্ধ হচ্ছে। সুতরাং অবিলম্বে ডাকসুর পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে, পাশাপাশি স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়েও দক্ষ নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে সকল ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর’২১ শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব এর ভি.আই.পি লাউঞ্জে ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত “ডাকসু নির্বাচনে ইশা ছাত্র আন্দোলন; রাজনীতির নয়া মেরুকরণ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী উপরোক্ত কথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম বলেন, আমরা ক্যাম্পাসকে মুক্ত চিন্তার উন্মুক্ত প্রাঙ্গন হিসেবে দেখতে চাই। সকল মত ও পথের সহাবস্থান নিশ্চিত করে ক্যাম্পাসে ছাত্রবান্ধব ও গঠনমূলক রাজনীতির চর্চা চাই। ক্যাম্পাসকে ভয়-ভীতির রণক্ষেত্র না বানিয়ে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার অভায়ারণ্য তৈরি করতে প্রশাসনের আন্তরিকতা চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী ক্যাম্পাস সমূহের রাজনীতিতে ইসলামপন্থীদের সহ্য করতে পারেনা, তারা মূলত রাজনৈতিক সহাবস্থানে বিশ্বাসী নয়। এদের কাছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। এরাই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য সকল ক্যাম্পাসে কাজ করে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসসমূহে রাজনৈতিক সহাবস্থান তৈরীতে এবং সকলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে লড়াই করে যাচ্ছে ইশা ছাত্র আন্দোলন। অপরদিকে হিন্দুত্ববাদের আশীর্বাদপুষ্ট অশুভ চক্র মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এর সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ, এম. হাছিবুল ইসলাম, ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, ডাকসু নির্বাচনে ইশা ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী এস. এম আতায়ে রাব্বিসহ ইশা ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ।