গতকাল ঐতিহাসিক শোকাবহ ৩
নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
ঘনিষ্ট সহচর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে হাজী
মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয়
শহীদ মিনারে সকাল সাড়ে ৯টায় পুষ্পঅর্ঘ দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পন করেন হাজী
দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রসেফর
ড. এম কামারুজ্জামান। এ সময় পুষ্পস্তপক অর্পন করেন রেজিস্ট্রার বীর
মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মোঃ ফজলুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান
চন্দ্র হালদার, প্রক্টর মোঃ মামুনূর রশিদ এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা
বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোঃ মাঈন উদ্দীন।
এছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, গণতান্ত্রিক
শিক্ষক পরিষদ, হল সুপার কাউন্সিল ও হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সংগঠনের
নেতাকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি
জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫
সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয়
কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।’
ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি
নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা।
তিনি বলেন, ‘ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে,
ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর আদর্শ চির
অম্লান থাকবে।’
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা
হয়◌় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার
নেতাকে। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয◌় চার নেতা হলেন
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী
তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ
এম কামরুজ্জামান।
এ হত্যাকান্ড স্মরণে প্রতি বছর ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত
হয়ে আসছে।